শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি বড় কনসার্ট হলে বেশ কয়েকজন আততায়ী বিস্ফোরণ ঘটালে এবং ভিড়ের মধ্যে গুলি ছুড়লে অন্তত ৪০ জন নিহত, ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হওয়ার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটল।
কি ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় এবং কেউ এর দায় স্বীকার করেনি। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন এই হামলাকে একটি “বিশাল ট্র্যাজেডি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে এর তদন্ত করছে।
এই হামলা গত কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার লড়াই এ বছর তৃতীয় বছরে পড়েছে।
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস, দেশটির প্রধান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী এজেন্সি জানিয়েছে, মস্কোর পশ্চিম প্রান্তে ক্রোকাস সিটি হলের একটি বড় সঙ্গীত ভেন্যুতে এই হামলায় ৪০ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
রুশ সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আততায়ীরা বিস্ফোরক নিক্ষেপ করলে, ৬০০০ লোক বসতে পারে এমন হলটিতে আগুন লেগে যায়। তারপর তারা গুলি করা শুরু করে।
বিখ্যাত রাশিয়ান রক ব্যান্ড পিকনিকের একটি পারফরম্যান্সের সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তবে এখন অনেকে আটকে থাকতে পারে।
প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে যে সমরাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেশ কয়েকজন লোক কনসার্ট হলে প্রবেশ করে এবং কনসার্টে অংশগ্রহণকারীদের উপর গুলি চালায়।
ক্রেমলিন তাতক্ষনিকভাবে এই হামলার জন্য কাউকে দায়ী করেনি, তবে কয়েকজন রুশ আইনপ্রণেতা দ্রুতই ইউক্রেন এর পিছনে জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক কনসার্ট হলে হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেছেন যে তিনি এখনও সম্পূর্ন বিবরণ পাননি তবে “দৃশ্যগুলো ভয়াবহ।…অনেক মা-বাবা, ভাই-বোন এবং ছেলে-মেয়ে আছে যারা এখনও খবর পায়নি। তাদের জন্য একটা কঠিন দিন এটি।”
জেএন/এমআর