সিলেট টেস্টে দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ চেষ্টা করছেন বোলাররা। ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে লঙ্কানরা।
তাদের লিড এরই মধ্যে ২১১ রানের। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২৩ আর নাইটওয়াচম্যান বিশ্ব ফার্নান্ডো ২ রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ৬৪ রানের মধ্যে তাদের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরায় টাইগাররা। এর মধ্যে দুটি উইকেট নাহিদ রানার।
বিপিএলেই গতির রাজা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন নাহিদ রানা। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সেই গতির পসরা সাজিয়েছিলেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসেও আগুনে বোলিং অব্যাহত রেখেছেন নাহিদ রানা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে প্রথম বল করতে আসেন নাহিদ।
এই ওভারের চতুর্থ বলে তেমনই এক ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লঙ্কান ওপেনার নিশান মাধুশঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার রান এ সময় ছিল ১৯। ২০ বলে ১০ রান করে আউট হন মাধুশঙ্কা। এরপর রানার দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস (৩)।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস অনেকটাই সেট হয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে বল হাতে নিয়েই লঙ্কান এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত করেছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের টার্নিং ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক লিটনকে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাথিউস (২২)।
এরপর দিনেশ চান্দিমালকে দাঁড়াতেই দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বলে রিভিউ নেন মিরাজ। তাতেই বাজিমাত।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। কারণ রিপ্লেতে দেখা গেলো, লেগস্টাম্পে আঘাত করতো বল। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পান মিরাজ।
তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন দিমুথ করুনারত্নে। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। অবশেষে তাকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
টাইগার পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ফাইন লেগে নাহিদ রানার ক্যাচ হন করুনারত্নে। ১০১ বলে ৫২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ৭টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান করুনারত্নে।
এর আগে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৮৮ রানে।
জেএন/পিআর