হোয়াইট হাউসের প্রধান কর্মকর্তা বা চিফ অব স্টাফ জন কেলি কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি গ্রীষ্মে ট্রাম্প তার চিফ অব স্টাফকে আরও দুই বছর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে অনুরোধ করলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা একেবারেই বন্ধ।
১৭ মাস আগে রেইনস প্রিবাসের স্থলাভিষিক্ত হন কেলি। তার পদত্যাগ ওয়েস্ট উইংকে নতুন করে ঝাঁকুনি দিতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প তার মেয়াদের প্রথম বছরেই চিফ অব স্টাফ বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন। নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের শোচনীয় পরাজয়ের পর মন্ত্রিসভা ও হোয়াইট হাউসে অদলবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই কেলির পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কেলির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার খোঁজও শুরু করেছেন।
কেলি ‘রাজনৈতিকভাবে দক্ষ’ নন বলে আগেও বেশ কয়েকবার মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ‘কোনোকিছুই চূড়ান্ত’ নয় বলেও মন্তব্য ওই কর্মকর্তার।
গত বছরের ৩১ জুলাই দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমদিকে কেলি হোয়াইট হাউস সামলেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। ওভাল অফিসের কর্মকর্তা এমনকি নীতি নির্ধারণেও তার প্রভাব ছিল সীমাহীন। গত মাস থেকে ট্রাম্প ওই ক্ষমতায় লাগাম টানেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবারই কেলির পদত্যাগ বা তাকে বরখাস্তের গুঞ্জন শোনা গেলেও প্রত্যেকবারই ওয়েস্ট উইংয়ে আরও দাপট নিয়ে ফিরেছেন ৬৮ বছর বয়সী এ রিপাবলিকান। যদিও সাবেক স্টাফ সেক্রেটারি রব পোর্টারের পদত্যাগ ও অক্টোবরে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে বচসার পর হোয়াইট হাউসে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেলির সম্ভাব্য পদত্যাগের কথা প্রথম জানায় মার্কিন ওয়েবসাইট এক্সিওস।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, কেলির জায়গায় নিক আয়েরসই ট্রাম্পের প্রথম পছন্দ। ৩৬ বছর বয়সী এ রিপাবলিকান বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করছেন।-সিএনএন