গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে নাদিম (২২) ও লালন মিয়া (২৪) নামে আরও দুজন মারা গেছেন।
এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। আরও ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মূখনের চর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে নাদিম। লালন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরগিরিস গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাদিম এবং ৩টার দিকে লালন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান তাঁরা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম তাঁদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজীপুর থেকে নাদিমকে ৫৫ শতাংশ এবং লালনকে ৪৬ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে শনিবার রাতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম ও লালন।
ডা. তরিকুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় সোলাইমান মোল্লা, মনসুর আলী, শিশু তায়েবা, আরিফুল ইসলাম, মহিদুল, নার্গিস খাতুন, জহিরুল ইসলাম, মোতালেব, মো. সোলায়মান, রাব্বি, তাওহীদ, ইয়াসিন, মশিউর রহমান ও কমলা খাতুনসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন থাকা আট থেকে দশ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাঁদের সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, স্থানীয় শফিক খান তাঁর বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর এর চাবি থেকে গ্যাস বের হতে শুরু করে।
পরে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন। তখনও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এমন সময় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে যায়। এতে রাস্তায় থাকা ৩৬ জন দগ্ধ হয়।
জেএন/পিআর