সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বিব্রতকর পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ।
৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে স্রেফ ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। বাকি ৫ উইকেটে আরও ৪৬৪ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা।
তবে, হার যখন নিশ্চিত, তখন নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ারও দারুণ একটা সুযোগ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে। কিন্তু সেটাও হলো না। বাংলাদেশের ব্যাটাররা একে একে আত্মাহুতি দিয়ে আসলেন।
হাস্যকর সব আউটের পসরা সাজিয়েছেন। লিটন দাস যেভাবে আউট হলেন, তা দেখে রীতিমত অবাক সবাই। সবারই বক্তব্য, এ কোন ব্যাটার- টেস্ট খেলতে নেমেছে?
একা যা একটু লড়াই করলেন মুমিনুল হক। তার ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান খানিকটা কমেছে। তবুও শেষ পর্যন্ত সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
প্রায় দেড়দিন বাকি থাকতেই টেস্ট হারলো টাইগাররা। ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার এই ম্যাচে বেশি কিছু করতে পারলেন না।
৬ রান করে কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৫১ রানে ৬ উইকেট পতনের পর অনেকটা সময় মুমিনুলকে সঙ্গ দেন মিরাজ। দুজনে বেশ অনেকটা সময় দেখেশুনে ক্রিজে থেকেছেন। গড়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি।
১০৫ বলে ৬৬ রানের জুটিতে কিছুটা আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলেন মিরাজ। সেটাই কাল হলো তার জন্য। রাজিথার দিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর শরিফুল এসে মুমিনুলকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন আরও ৪৭ রান। নিজে করেছেন ১২ রান। তবে ৪১ বল খেলার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে তার। স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে রাজিথার বলে কট এন্ড বোল্ড জন তিনি। পরের বলেই ফিরে যান খালেদও।
শেষ ব্যাটার হিসেবে নাহিদ রানা ফিরেছেন ডাক মেরে। লাহিরু কুমারার বাউন্সারে পরাস্ত হন তিনি। ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৮৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৪১৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১, আগের দিন ৪৭/৫) ৪৯.২ ওভারে ১৮২ (মুমিনুল ৮৭*, তাইজুল ৬, মিরাজ ৩৩, শরিফুল ১২, খালেদ ০, রানা ০; ভিশ্ব ১৫-৫-৩৬-৩, রাজিথা ১৪-১-৫৬-৫, কুমারা ১১.২-১-৩৯-২, জায়াসুরিয়া ৯-১-৩৭-০)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৩২৮ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা।
জেএন/পিআর