চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে খেলাপি ঋণের ৯ কোটি টাকা মূল ঋণ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করার জন্য দু’বার পুনঃতপশিল করলেও তিনি কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। এর বিপরীতে কোনো বন্ধকি সম্পত্তিও তিনি জামানত হিসেবে জমা দেননি। সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক লিমিটেড নগরের আগ্রাবাদ শাখা থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আবেদন ও শুনানি শেষে একতরফা সূত্রে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ডিক্রি হলো। ঋণখেলাপি মাহমুদুল ইসলামকে ৩০ দিনের মধ্যে ডিক্রীকৃত টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। ব্যর্থতায় অর্থঋণ আইন অনুযায়ী সুদসহ ব্যাংক আইনগত পদ্ধতিতে ডিক্রীকৃত টাকা আদায় করতে পারবেন। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের নামে ৬ কোটি ৪৯ টাকা ঋণ নেন। পরে তা সুদে আসলে এখন ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় এসে পৌঁছেছে। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে নগরের ২৭/এ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন।
জেএন/এমআর