চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ হাইলধর গ্রামের কাজি মাঝির বাড়িতে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে।
প্রাক্তন স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার নয়া স্বামী শাহাদতসহ আরো কয়েকজন মিলে আনোয়ার মিয়া (৫০)কে ঘর থেকে পাশের বিলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৮ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে হত্যাকান্ডে জড়িত মো. পারভেজ (২২), শাহজাহান (৪৫) ও তার ভাই শাহ আলম (৪২)কে আটক করেছে।
আনোয়ারের বর্তমান স্ত্রী পারভিন আক্তার জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ করে আমার স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী ও তার নতুন স্বামীসহ কয়েকজন আমাদের বাড়িতে এসে চিৎকার শুরু করে।
আমার স্বামী দরজা খুলতেই তারা টেনে হিঁচড়ে পাশের বিলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। পরে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করতেই তারা পালিয়ে যায়।
আমার স্বামী আনোয়ারকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বললেন নিহতের চাচাত ভাই সিরাজুল ইসলাম।
কারণ হিসেবে তিনি জানায়, মরিয়ম বেগমের সাথে আমার চাচাতো ভাই আনোয়ারের বিয়ে হওয়ার পর ভাইটি বিদেশে চলে যায়। সে দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে বাড়িতে তার পূর্বের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৪০) নামে ব্যাংকে টাকা পাঠাতো।
এরমধ্যে মরিয়ম বেগমের সাথে স্থানীয় মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. শাহাদতের (৪০) ভাব হয়। এক পর্যায়ে আনোয়ার মিয়ার পাঠানো সব টাকা পয়সা ও গয়নাঘাটি নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে মরিয়ম বেগম শাহাদতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পরে দেশে এসে আনোয়ার হোসেন পারভিন আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে প্রাক্তন স্ত্রী মরিয়ম ও শাহদাতের শত্রুতা চলে আসছিলো। বুধবার রাতে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বুধবার মধ্যরাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে হাইলধর এলাকা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় ওসি তদন্ত।
জেএন/পিআর