চট্টগ্রাম নগরীতে বর্তমানে ২৫০টির মতো কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপগুলোর প্রতিটিতে ছয় থেকে ১২ জন সদস্য। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ইভটিজিং, মারামারি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক সেবন ও বিক্রি থেকে শুরু করে খুনখারাবিতেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীও এসব গ্রুপে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) তথ্য মতে, চট্টগ্রাম নগরীতে ২৫০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়, আর এগুলোতে প্রায় দেড় হাজার সদস্য আছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৬টি গ্যাংয়ের ১৫০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ, কোতোয়ালি, চান্দগাঁও এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসংখ্যা বেশি।
এর মধ্যে বায়েজিদ এলাকার নূর গ্রুপ, রুবেল গ্রুপ, জনি গ্রুপ, বাকলিয়া এলাকার ইউসুফ গ্রুপ, পাহাড়তলী এলাকায় সাদ্দাম গ্রুপ, বিপুল গ্রুপ, সাকিব গ্রুপ, সাজ্জাদ গ্রুপ, পাঁচলাইশ এলাকার বাচা গ্রুপ, সদরঘাট এলাকার জীবন গ্রুপ, চান্দগাঁও এলাকায় ধামা জুয়েল, রিফাত, সোহেল ও দিদার গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।
এ ছাড়া লালখান বাজার, টাইগারপাস, বাঘঘোনা এলাকায় ডিশ সালাউদ্দিন, জাহিদ, নাহিদ ও তানজিদ গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। উত্তর পাহাড়তলী এলাকায় সক্রিয় রয়েছে বিল্লাল, সালাউদ্দিন, শাকিল ও আনিস গ্রুপ।
র্যাব ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন ছত্রচ্ছায়ায় নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ব্যবহৃত হচ্ছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ইভ টিজিং, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক আধিপত্য বাড়াতেও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে এসব গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য অনেকটা বেড়ে গেছে।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, ‘ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা কিছুটা বেড়েছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত হচ্ছে তারা।
জেএন/এমআর