বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আবারও অবনতি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার গাড়িবহর রাত তিনটার কিছু সময় আগে হাসপাতালে পৌঁছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিএনপি চেয়ারপাসনকে হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হবে।
এর আগে রাত ১২টার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে গত বুধবার (২৭ মার্চ) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করেন। পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৪ মার্চ বাসায় ফেরেন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সে দিন থেকে কারাবন্দি হন তিনি। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। মাঝে বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সবশেষ গত বুধবার (২৭ মার্চ) তার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস স্থগিত করা হয়।
জেএন/এমআর