পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করতে চায়, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার।
তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না। বুয়েট থেকে দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ পাস করেছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল যে কিছু হয় কি না।
কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।
‘ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে- এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ এতে অংশ নেন।
জেএন/পিআর