ঈদকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে মসলার। চাহিদা বেশি থাকায় দেশে সব ধরনের মসলার দাম এখন আকাশছোঁয়া। প্রায় সব মসলায় দাম এখন দ্বিগুনের ঘরে।
মঙ্গলবার (২লা এপ্রিল) দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। আজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
দুই মাস আগেও জিরার দাম ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
মেসার্স তৈয়বিয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান বাদশা বলেন, জিরা আমদানিতে খরচ বেশি হচ্ছে। পাইকারি মসলা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান রাসেল স্টোরের মালিক আকবর হোসেন বলেন, জিরা আমদানিতে ডিউটি ফি বাড়ানোর কারণে জিরার দাম বেড়েছে।
এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকা কেজিতে। খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি এলাচের দাম মানভেদে ৩৬শ থেকে ৪ হাজার টাকা। স্থানভেদে এটা কোথাও কোথাও ৫ হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। যা রোজার ১ মাস আগে ছিলো ২৬০০ নিচে। দামে বেড়েছে দিগুন দামে।
কাজু বাদামের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ৬২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাজুবাদাম এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকায়। কিসমিস বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ৩২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এসব কিসমিসের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কম ছিল।
দারুচিনির দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রয় হছে ৩৪০ টাকা। জয়ত্রী দুই হাজার ৩৫০ টাকা, জয়ফল ৬০০-৬৫০ টাকা, আখরোট এক হাজার ৫০ টাকা এবং কাজুবাদাম ৬২০ টাকা।
খাতুনগঞ্জের ইসমাইল ট্রেডার্সের মালিক ও মসলা ব্যবসায়ী মো. সেকান্দার বলেন, বাজারে মানভেদে লবঙ্গ ৫০ টাকা, জয়ত্রী ৬০ থেকে ৭০ টাকা, জয়ফল ৫০ থেলে ৫৫ টাকা, কিসমিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আখরোট ৪৫ থেকে ৬০ টাকা এবং কাজুবাদাম ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
এই দিকে খুচরা ব্যবসায়িদের অভিযোগ, বেশি দামে মসলা কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রয়।
আনিস মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজা থেকে ঈদ যেনো দাম বাড়ানোর হিড়িক পরে যায়। স্বাদ করে বিভিন্ন মসলা দিয়ে খাবার বানাবো তার আর সামর্থ্য নেই।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। ঈদের এই সময়টায় এরা দাম বাড়িয়ে দেন। গরম মসলা স্লো আইটেম। তারপরেও থেমে নেই ব্যবসায়ীদের কারসাজি।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা যেন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার।
জেএন/হিমেল/পিআর