চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানাধীন ফলমন্ডির ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দি মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবক ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, ‘আমরা যুবক বয়সী একজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল সোমবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডে ফলমণ্ডির সামনে ডাস্টবিনে লাশটি পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে।
আনুমানিক সাত বছর বয়সী মেয়েটির নাম নুসরাত ওরফে সুখী। মেয়েটির যোনি এবং পায়ুপথে রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছিল।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘লাশের মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে আছে। শরীরেও জখমের চিহ্ন আছে। শ্বাসরোধ অথবা পয়জনিংয়ের মাধ্যমে খুন করা হতে পারে। যোনি ও পায়ুপথে রক্তক্ষরণের চিহ্ন ছিল। ধর্ষণের পর হত্যা কি না, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখব।’
পুলিশ কর্মকর্তা অতনু জানান, ‘সুখী তার মায়ের সঙ্গে বাকলিয়া বৌবাজার এলাকায় থাকত। তার মা রাস্তা, ডাস্টবিনে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ কাজের সময় সুখীকে আন্দরকিল্লা এলাকায় পরিচিত ভ্রাম্যমাণ লোকজনের কাছে রেখে আসতেন মা। তার মা জানিয়েছে, রোববার রাতে তিনি বোতল কুড়াতে আসার সময় মেয়েকে আন্দরকিল্লা রেখে এসেছিলেন। পরে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে কোথাও পাননি।’
জেএন/এমআর