পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালত এক অন্তবর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটতে না পারে।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন হিউম্যান রাইডস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজেকে একটি প্রভাবশালী মহল পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ নষ্ট করছে, যা বন্ধ হওয়া আবশ্যক। কিন্তু এ বিষয়ে মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি জনস্বার্থের সাথে সম্পর্কিত বিধায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন বলে আবেদন করেছি।
আইনজীবী আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল আইন মান্য না করে পাহাড় কেটে প্রকৃতির ধ্বংস করছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা সম্পর্কে গত ২৯ মার্চ মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ১ এপ্রিল একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।
সংগঠনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ রিটটি দায়ের করেন। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ সচিব, ডিজি পরিবেশ, পরিচালক চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতর, ডিসি চট্টগ্রামসহ মোট নয়জন।
জেএন/এমআর