চলতি বছরের মার্চ মাসে রফতানি আয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। ওই মাসে পণ্য রফতানি করে ৫১০ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৫৬ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রফতানি হয়েছিল ৫১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলার আর প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
টানা তিন মাস পণ্য রফতানি বাড়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধির হারও বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) চার হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল বাংলাদেশ। ওই সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্য বলছে, নয় মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দেশের বড় খাত তৈরি পোশাকের রফতানি বাড়লেও অন্যান্য বড় খাতগুলোর রফতানি কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের রফতানি পণ্যের প্রধান খাত তৈরি পোশাক প্রথম নয় মাসে তিন হাজার ৭২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রফতানি ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।
জেএন/এমআর