চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সময় দেওয়ার ওপর।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সাধারণত তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও এই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। সে হিসেবে ১১ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলছে। তবে তারিখ নির্ধারিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রী সময়সূচির প্রয়োজন।
জানা গেছে, গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে হিসেবে ১২ মে’র মধ্যে এসএসসি’র ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। খাতা মূল্যায়ন শেষে তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের এক সদস্য বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা চিন্তা করেছি ৯, ১০ অথবা ১১ মে ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাব। ফল তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ১২ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান ওই সদস্য।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন। ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দিচ্ছেন। ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি, ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন পরীক্ষার্থী দাখিল ও ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
জেএন/এমআর