তাইওয়ানের ইতিহাসে গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৮৮২ জন।
ভূমিকম্পের পর ১২৭ জন আটকা পড়েছেন। তাদে মধ্যে অন্তত ৭৭ জন একটি সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছেন।
সেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়াদের নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকালের দিকে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। মূল ভূখণ্ড- চীনের পাশাপাশি ফিলিপাইন ও জাপানেও কম্পন অনুভূত হয়।
এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বেশ ক’টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। ভূমিকম্পে বহু রাস্তাঘাট এবং স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ঘনঘন আফটার শক হওয়ার কারণে জারি করা সুনামি সতর্কতা এখনো তুলে নেওয়া হয়নি।
তাইওয়ানের ভূমিকম্প মনিটরিং এজেন্সি থেকে বুধবার (৩ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.২ বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৪। যদিও জাপানের আবহাওয়া দপ্তর দাবি করেছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৭ ছিল।
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকিনাওয়ায় কিছু অংশে সুনামির বেশ কয়েকটি ছোট ঢেউ পৌঁছেছে। অন্যদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।
তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
ভূমিকম্পের সময় ২৩ মিলিয়ন মানুষ যারা ট্রেন সেবা নিচ্ছিলেন, তারা থমকে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বহু ভিডিওতে দেখা গেছে ভূমিকম্পের তীব্রতা এতোটাই ছিলো যে ব্রিজ থেকে শুরু করে বিল্ডিং, রাস্তাঘাট সব জোরালোভাবে কাঁপছে।
এতে বহুতল বেশ কয়েকটি ভবন হেলে পড়তে দেখা যায়। সেখানকার ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস এবং উদ্ধারকর্মীরা। (সূত্র: সিবিএস নিউজ)