চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং “মামা গ্রুপের” প্রধানসহ ৭ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের দেহ তল্লাশী করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি স্টিলের চাপাতি, ১টি ফোল্ডিং টিপছুরি এবং ২টি স্টিলের ক্ষুর উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোণার মো
মোতালেবের ছেলে মো. সিফাত হোসেন (২৬),
কুমিল্লার মৃত ফজলুর ছেলে মো. কামরুল ইসলাম (৩৪), বায়জিদ এলাকার মৃত ইলিয়াস হোসেনের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৭), বিবিরহাট এলাকার রহুল আমিনের ছেলে মো. সোহেল (২৫), রাউজানের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৪), লাকসামের মনির হোসেনের ছেলে মো. কাওসার (২০) ও বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মো. ছাব্বিরের ছেলে মো. লালু সোহেল (২০)।
র্যাব-৭ জানায়, সম্প্রতি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ‘মামা গ্রুপ’ নামক কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ঈদকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম বায়েজিদ বোস্তামী থানার নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, “মামা গ্রুপ” নামক কিশোর গ্যাংয়ের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাত্রীকালীন সিএনজি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং ডাকাতি করে আসছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় একত্রিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, “মামা গ্রুপ” নামক এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গলি ও রোডে ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাননাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়।
এছাড়াও তারা সাধারণ মানুষসহ দৈনন্দিন চলাচলরত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনতাই করে আসছিল বলে অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/হিমেল/পিআর