বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির দাম আকাশচুম্বী হওয়ার আসল কারণ জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, করপোরেট গ্রুপগুলোর কারসাজিতেই অস্থিতিশীল হয়েছে মুরগির বাজার, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর তৈরিকৃত কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা।
বাজারের বেশির ভাগ মুরগি এখন করপোরেট গ্রুপগুলোর। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে করপোরেট গ্রুপগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন বিপিএ সভাপতি।
তিনি বলেছেন, অসাধু কর্মকর্তা ও করপোরেট গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন ১৭ কোটি ভোক্তা। এই সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় এনে প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে সরকারকে। তা না হলে, মহাবিপর্যয়ে পড়বে প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প।
কৃষির উন্নয়নে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও করপোরেট গ্রুপগুলোর কারসাজিতে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে জানিয়ে সুমন হাওলাদার আরও বলেন, একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা। অথচ প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের সেই ফিড কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
তিনি বলেন, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতেই খরচ পড়ে যাচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৪৯ টাকা।
অসাধু কর্মকর্তা ও করপোরেট গ্রুপগুলোকে আইনের আওতায় না এনে এভাবে দাম নির্ধারণ করে দিলে লোকসানে পড়বেন খামারিরা।
এ অবস্থায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে দ্রুত তাদের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করার দাবি জানান বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি।
জেএন/পিআর