আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাতারাতি গণতন্ত্রের শাখা-প্রশাখা বিকশিত হবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। আমাদের গণতন্ত্র অনেক পরীক্ষা ও বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিএনপি সন্ত্রাস-খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্রের চিহ্নও ছিল না। আমরা অনেক দেরিতে শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন। পরিপূর্ণতা কোথাও আসেনি, আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এই প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো মূল্যে আমরা বাঁচিয়ে রাখব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার গণভবনেও ইফতার পার্টি হয়নি। গতবারও হয়নি। আমরা পার্টি না করে অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমরা আমাদের রোজার মাসের পরিকল্পনা নিয়েছি, সেভাবে সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য… বিপদে আপদে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
এ দেশে বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। বলেছিল সরকার নির্বাচন করতে পারবে না। তারা ঠেকাতে পারেনি, নির্বাচন হয়ে গেছে। তারপর বলেছে পাঁচ দিনও টিকবে না এই সরকার, সেই জানুয়ারির ৭ তারিখ থেকে তিন মাস হয়ে গেল সরকার টিকে আছে। বিএনপির এখন চেয়ে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর গত্যন্তর নেই। এ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তারা। আর গণতন্ত্র উদ্ধার করছেন এবং শৃঙ্খল মুক্ত করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
‘সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কীভাবে হরিলুট চলছে? কোথায় হরিলুট চলছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না, সত্য বলুন। ৮০ শতাংশ লোক জেলে… ফখরুল সাহেব মায়া কান্না কাঁদেন। এই ৮০ শতাংশের তালিকা কই? কোথায় হরিলুট চলছে? আমাদের আজকে পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন নেই, রাত নেই অবিরাম কষ্ট করে যাচ্ছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।
জেএন/এমআর