পাপুয়া নিউ গিনির মহিলা দলের অলরাউন্ডার কাইয়া আরুয়ার জীবন ৩৩ বছর বয়সেই থেমে গেলো। তিনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন।
তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কেননা তিনি আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন বলে জানতো না কেউই। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় আরুয়ার।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিশেষ কিছু জানানো হয়নি দেশের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রিকেটারের মৃত্যুতে। তিনি একাই থাকতেন বলে জানা গেছে।
ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার কারণে একমাত্র মেয়েকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। তার খেলার জন্য যাতে মেয়ের পড়াশুনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে পাপুয়া নিউ গিনির সাবেক অধিনায়কের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
২০১০ সালে জাপানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আরুয়ার।
তিনি মূলত বোলিং অলরাউন্ডার ছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ হয়েছিল তার। বাঁহাতি এ স্পিনার পাপুয়া নিউ গিনি মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। দেশের হয়ে ৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৫৯ উইকেট তুলে নেন তিনি।
জাপানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি। যা দেশের হয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার রয়েছে ৩৪১ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩।
গত জানুয়ারিতে প্যাসিফিক কাপে শেষ বার দেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতায় ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে নজর কাড়েন তিনি।
জেএন/পিআর