প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে জাতির পিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ৪৮ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছি। ‘রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর’ এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি এডভেঞ্চার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২টি করে স্কাউট দল গঠন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায় তার জন্য আমি নির্দেশনা প্রদান করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রত্যেক সদস্য জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেএন/এমআর