চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ভিড় বাড়লেও ঘরমুখো মানুষের মুখে হাসি

রাজীব প্রিন্স:

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত দুর পাল্লার বাস টার্মিনালের মতো রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ।

- Advertisement -

ঈদে ঘরমুখো মানুষের এই চাপকে স্বাভাবিক বলছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে বেশ তৎপর তারা।

- Advertisement -google news follower

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ট্রেনের আশায় প্রতিটি প্লাটফর্মে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মানুষেরা।

মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের।

- Advertisement -islamibank

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে সিট ক্যাপাসিটির বাইরে স্ট্যান্ডিং টিকিটও বিক্রি করা হচ্ছে। যেসব যাত্রী আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তারা স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে কিংবা বাদুড়ঝোলা হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পাশাপাশি গতকাল সোমবার থেকে চারটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। সব ক’টি ট্রেন নির্দিষ্ট সময় ছেড়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন।

অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ট্রেনের ঈত যাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। বিনা টিকেটে যাত্রী কম। ধাক্কা-ধাক্কিও নেই।

এক কথায় বলতে গেলে এবারের ট্রেনে বাড়ি ফেরার অনুভূতি অন্যরকম। আশা করছি কোন ধরনের ঝুটকি ঝামেলা ছাড়াই ঢাকা ফিরতে পারবো।

আয়েশা নামে আরেক যাত্রীর মুখেও শোনা গেলেও সুখানুভুতির সুর। তিনি বলেন, এবার ট্রেনে খুব আরামদায়ক যাত্রা। আশা করছি সময়মতো বাড়িতে পৌছে পরিবারের সাথে সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।

সোহাগ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে সব ট্রেনে যাত্রী পরিপূর্ণ। ছাদে কোন যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। কোনো অপ্রীতকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং যাত্রীরা যাতে নিরাপদ গন্তব্য পৌঁছাতে পারে সেইজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM