ঈদের আনন্দ স্বজন-প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে রাজধানীর সদরঘাটে।
প্রধান এই নদী বন্দরে আজ মঙ্গলবার ( ৯ এপ্রিল) সকালে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের রুটের লঞ্চগুলো এখনো যাত্রীতে পরিপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ে যাত্রী বোঝাই লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।
টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে বিকালের পর আবার যাত্রীদের ভিড় হবে। কাল পোশাক শ্রমিকদের অনেকেই টিকেট কেটে নিয়ে গেছেন। তাদের বেতন হয়নি বলে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর দু’দিন আগে গত সোমবার থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
এমডি ফারহান-৮ লঞ্চে পিরোজপুরে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা নিশিতা। তিনি বলেন, ‘ঘাটে ভিড় এবং যাত্রী বেশি থাকলেও সময়মতো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। আর ভিড় ঠেলে লঞ্চে উঠতে পেরে এখন অনেক ভালো লাগছে।
রাজধানীর গুলশানের বাসিন্দা শানে আলম ঈদ করতে পরিবার নিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন-১৫ লঞ্চের টিকিট পেয়েছি। তবে ঘাটে অনেক ভিড়। লঞ্চে ঠিকভাবে উঠতে পারলেই হয়। একা হলে সমস্যা ছিল না, পরিবার নিয়ে এতো ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠতে অনেক কষ্ট হবে। ’
অন্যদিকে যাত্রী বেশি হওয়ায় অনেকেই লঞ্চে উঠতে পারেননি। তাই পরবর্তী লঞ্চের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন। পরিবার নিয়ে এই অপেক্ষাটা অনেকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণত ঈদের সময় সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরগুনার লঞ্চ ছাড়ত। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। সবধরনের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা কম।
তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে আধাঘণ্টা পরপর লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই রুটে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।
বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ওঠানোর হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।
ঈদযাত্রা শুরুর পর সোমবার থেকে নৌ-পথে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি। তবে সেটা অন্যান্য বছরের মতো নয়।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়েছিল। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়।
জেএন/পিআর