ঈদ সামনে রেখে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম। তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায় ব্রয়লারসহ অন্যান্য জাতের মুরগির দামে বেড়েছে। মাংসের অস্বাভাবিক দামের কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ ভোক্তারা।
বৃহস্পতিবার যেখানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকায়, সেই মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মাসে খামারিরা বাচ্চা কম পেয়েছেন, যে কারণে বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তাই এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
নগরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সোনালি মুরগি, দেশি মুরগির দামও বাড়ছে।
কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০-৩৮০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০-৬৫০ টাকায়।
মুরগি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জমির হোসেন বলেন, হ্যাচারি মালিকরা বাচ্চা ফোটানো কমিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে চাহিদামতো বাচ্চা পাননি খামারিরা। তাই মুরগির সরবরাহ কমেছে।
ঈদের সময় এমনিতে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ে। এবার বেশি বেড়ে গেল। এখন খামার পর্যায়েই মুরগির দাম বেড়েছে। আমরা খামারির কাছ থেকে ২৩০-২৩৫ টাকায় কিনছি। ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। ওই মুরগিই দোকানদাররা বিক্রি করছেন ২৭০-২৭৫ টাকায়।
নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা মনিরুল ইসলাম এক গামেন্সকর্মী বলেন, ঈদে জন্য মাংস কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি মুরগির মাংসের দাম এতো বেড়েছে ভাবছি কিনবো কিনা। ছেলে-মেয়েদের জন্য মূলতে কিনতে আসা। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তাও কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
দিনমজুর নিজাম উদ্দিন বলেন, পরিবারের আবদারে আজ বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বেশি দামের কারণে কেনা হলো না।
জেএন/হিমেল/পিআর