চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতরের কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠ পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷
মেয়র বলেন, এবার সকাল ৮টা ও পৌনে ন’টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ফ্যান, আর সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভেতরে জামাত হবে। এছাড়া মুরাদপুরে প্রায় ৪ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন এমন একটি ঈদগাহ নির্মাণ করেছি৷ যদিও এখন কিছু কাজ বাকি আছে তাও এবার নতুন ঈদগাহে নামাজ হবে।
এবারের চসিকের তত্ত্বাবধানে ঈদুল ফিতর এর প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল ৮টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে ন’টায় জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮ টায়।
এছাড়া নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল ৮টায় ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে যথাক্রমে হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।
এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ বা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
জেএন/এমআর