পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে মাতবে সারাদেশের মানুষ। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটাতে ঈদের আগের দিন দলে দলে চট্টগ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। শেষ মুহূর্তে ট্রেনে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। ট্রেনগুলোতে তিল ধারণের ঠাই নেই, উপচে পড়া ভিড়।আন্ত:নগর ট্রেনগুলোর ভিতরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীরা। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্টেশনগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
গার্মেন্টস কর্মী আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, অগ্রিম টিকিট কাটতে না পারায় এদিক ওদিক ঘুরছিলেন। পরে টিটির কাছে গেলে তিনি জনপ্রতি ৪৩০ টাকার বিনিময়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে দেন।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আটটি ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও স্পেশাল, সুবর্ণ, চট্টলা, পাহাড়িকা, সাগরিকা, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও চাঁদপুরগামী স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে গেছে।
সব ট্রেন ঠিক সময়ে স্টেশন ছেড়ে যেতে পারলেও ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস দেরীতে পৌঁছায় ছাড়তে সাড়ে চার ঘণ্টা দেরি করেছে। শিডিউল বিপর্যয় কিংবা স্টেশনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজ থেকে যাত্রীদের ভীড় শুরু হয়েছে। বুধবার ভীড় আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ট্রেন স্বাভাবিক সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। বিজয় এক্সপ্রেস সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে ১ টা ৪৫ মিনিটে। এ ছাড়া পর্যটক এক্সপ্রেস ১১ টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি ছেড়েছে ১টা ৩০ মিনিটে। এছাড়া বাকি সব ট্রেনের শিডিউল ঠিকঠাক আছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য সব প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। আগের চেয়ে বেশি পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ টিকিট কাটতে না পারলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এটি আগেও ছিল।
তবে এবার আমাদের কয়েকজন টিটি হাতে মেশিন নিয়ে যাদের টিকিট নেই তাদের কাছে গিয়েই এ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
জেএন/হিমেল/পিআর