সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের দেশ-বিদেশের দরিদ্র ও নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার তাগিদ দেন তিনি।
আজ বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সকলের সঙ্গে মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ যুদ্ধবিগ্রহ ও আধিপত্যের কারণে বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা। মনে রাখতে হবে দুঃখ একা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একা ভোগ করা যায় না; সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।
তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সিনিয়র রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর