রাজধানীর সদরঘাটে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই লঞ্চের ৪ চালকসহ ৫ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ।
তিনি বলেন, ওই পাঁচযাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের চার চালকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ তথ্য জানান বিআইডব্লিউটিএর গণসংযোগ কর্মকর্তা এহতেশামুল পারভেজ। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগ) রফিকুল ইসলামকে। সদস্য হিসেবে কমিটিতে আছেন নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ঈদের দিন রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে মা ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তাদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। তারা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
ঈদের দিন আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ১১ নং পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার ফাইটার আনিসুর রহমান জানান, সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে করে গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন সেখানে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘাটে বাঁধা টিপু-১৩ ও তাশরিফ-৪ লঞ্চের মাঝ দিয়ে ঢুকতে যায় ফারহান-৬ নামের লঞ্চটি। এ সময় ফারহান ধাক্কা দেয় টিপুকে আর টিপুর ধাক্কায় তাশরিফের রশি ছিঁড়ে যায়। রশির বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জেএন/এমআর