সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের হাতে আটক ইসরায়েলি কন্টেইনার জাহাজের ২৫ জনের মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয় নাগরিক।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, ‘হেলিবোর্ন অপারেশন’ চালিয়ে হরমুজ প্রণালীর কাছে এমএসসি অ্যারিজ নামের কন্টেইনারবাহী জাহাজটি আটক করা হয়েছে এবং এটি এখন ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার দিকে যাচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এমএসসি অ্যারিজ নামে একটি কার্গো জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইরান। এতে ১৭ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। আমরা তেহরান ও দিল্লিতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যাতে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা, কল্যাণ ও দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করা যায়।
জাহাজটির অপারেটর ইতালিয়ান-সুইস গ্রুপ এমএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ জাহাজটিতে জব্দ করেছে। আমরা দুঃখের সাথে নিশ্চিত করছি যে, জোডিয়াক মেরিটাইমের সাথে যুক্ত এবং এমএসসির চার্টার্ড গোর্টাল শিপিং ইনকর্পোরেটেডের মালিকানাধীন এমএসসি মেরিজকে ইরানি কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টারে করে জব্দ করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই জাহাজটি আটকের ঘটনা ঘটল। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ার দামেস্কে তাদের দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশনে বিমান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ ইরানের ৭ জন নিহত হন।
ইরান বলেছে, জাহাজটি উপসাগরীয় ইহুদিবাদী সরকারের (ইসরায়েল) সঙ্গে সম্পর্কিত। vesselfinder.com ও marinetraffic.com জাহাজ চলাচল ট্র্যাক করে এমন দুটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, এমএসসি অ্যারিজ একটি পর্তুগিজ পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ এবং এর সর্বশেষ রিপোর্ট করা অবস্থান উপসাগরীয় অঞ্চলে ছিল।
আইআরএনএ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ‘এমসিএস অ্যারিজ’ নামের একটি কন্টেইনার জাহাজ হেলিকপ্টারে অভিযান চালিয়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস নেভির স্পেশাল ফোর্সেস জব্দ করেছে।
পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের মধ্যবর্তী হরমুজ প্রণালীর কাছে এই অভিযান চালানো হয়, যা বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘এই জাহাজটি এখন ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার দিকে পরিচালিত হয়েছে’।
জাহাজটি জব্দের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে সংঘাত বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
জেএন/এমআর