ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো নজিরবিহীন হামলা করেছে ইরান। ইরানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তেহরানের প্রক্সি লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিরাও। ত্রিমুখী হামলা সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে ইসরায়েলকে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল। আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
দামেস্কের কনস্যুলেটের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের মাটিতে এ হামলা চালানো হয়। রোববার (১৩ এপ্রিল) তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান যে ইসরায়েলে হামলা করবে সেটি আগে থেকেই জানানো হয়েছিলো তুরস্ককে। ইরানই এ তথ্য তুরস্ককে জানিয়েছিলো।
তুর্কি কূটনীতিকের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়েছে, ইরানের অভিযান ছিল পরিকল্পিত। আর সেই পরিকল্পনার কথা আগেভাগেই আঙ্কারাকে জানিয়েছিল তেহরান।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয়ের সঙ্গে তেহরানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ওই কূটনীতিক আরও জানান, ইরানকে অভিযানের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কের মাধ্যমে সেই বার্তা ইরানের কাছে পৌঁছে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইরানের সামরিক অভিযান অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে যেন থাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সপ্তাহের শুরুতে ফিদানকে জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি কোনো পক্ষের জন্যই লাভজনক নয়। কী ঘটতে যাচ্ছে তা ইরান আমাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়টিও উঠে আসে এবং তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়েছিল যে এই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে।
এর জবাবে ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া হবে এবং তারা এর বাইরে কিছু করতে যাবে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটির প্রধান ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরে কথা বলেন।
তিনি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় তুরস্ককে মধ্যস্থতা করার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গেও তারা আলোচনা করেন।
জেএন/পিআর