সপ্তাহ দুয়েক আগেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে দলীয় রানের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিজেদের সেই রেকর্ড এবার নিজেরাই ভেঙে নতুন করে গড়েছে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়েছিল হায়দরাবাদ। যা আইপিএল ইতিহাসে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বিপরীতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডার। তিনে নামা উইল জ্যাকস, পাঁচে থাকা রজতি পতিদাররা ব্যর্থ হয়েছেন। ধারণা করা হয়েছিল বড় ব্যবধানের হার দেখতে হবে স্বাগতিকদের। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে মহীপাল লোমরোর ও দিনেশ কার্তিক ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে চেষ্টা করেছিলেন। তাতেই বেঙ্গালুরুর হারের ব্যবধান কমে এসেছে মাত্র ২৫ রানে।
বেঙ্গালুরুতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করেছে হায়দরাবাদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। তাছাড়া ৩১ বলে ৬৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান যোগ করেন তারা। ৩৪ রান করে অভিষেক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১০৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
অভিষেক ফিরলেও রানের গতিতা তা প্রভাব ফেলেনি। তিনে নেমে হেডের সঙ্গে রান উৎসবে যোগ দেন হেনরিখ ক্লাসেন। হেড প্রথম ফিফটি করেন ২০ বলে। আর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৩৯ বলে। সবমিলিয়ে ৪১ বলে ১০২ রান করেছেন এই অজি ওপেনার।
হেডের বিদায়ের পর ঝড় অব্যাহত রাখেন ক্লাসেন। এই প্রোটিয়া ২৩ বলে ফিফটি করেছেন। আর সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে করেছেন ৬৭ রান। শেষদিকে ১০ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ক্যামিও খেলেছেন আব্দুল সামাদ। তাতেই আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ।
রেকর্ড গড়া সংগ্রহের পিছু ছুটতে নেমে হায়দরাবাদের চেয়েও ভাল শুরু পেয়েছে বেঙ্গালুরু। পাওয়ারপ্লেতে হেডরা তুলেছিলেন ৭৬ রান। আর বিরাট কোহলি-ফাফ ডু প্লেসি তুললেন ৭৯ রান। কিন্তু ৬.২ ওভারে ৮০ রানের মাথায় ২০ বলে ৪২ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি।
এখানেই যেন রানের চাকা আটকে যায় বেঙ্গালুরুর জন্য। মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করা ডু প্লেসিও আউট হন খানিক সময়ের মাঝে। কিন্তু লোমরোর ও কার্তিক ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল। বিশেষ করে দীনেশ কার্তিক এবারের আইপিএলে নিজের চেনা ছন্দটাকেই সামনে আনছেন বারবার করে। গতকাল তার ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটাও ছিল চোখে পড়ার মতোই।
শেষদিকে একাই লড়ে গিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ৭ ছক্কা আর ৫ চারে অসম্ভব কিছু করার স্বপ্নটা জিইয়ে রেখেছিলেন কার্তিকই। কিন্তু ১৯তম ওভারে ৮৩ রানে আউট হলে নিশ্চিত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর পরাজয়।
জেএন/এমআর