শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। এরপর থেকে টাইগাররা স্পিন বোলিং কোচ ছাড়াই এতদিন সিরিজ খেলে আসছিল। অবশেষে নতুন করে স্পিনারদের অভিভাবক বেছে নেওয়ার কাজ সেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক তারকা লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদকে টাইগারদের স্পিন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ। ওই সময় থেকেই টাইগার শিবিরে যোগদানের কথা রয়েছে মুশতাকের। টাইগারদের নতুন এই স্পিন কোচের চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই আন্তর্জাতিক আসর।
এর আগে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের স্পিন বিভাগ সামলেছেন। ২০০৮–১৪ ইংল্যান্ড, ২০১৮-১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২০-২২ পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক আহমেদ। এছাড়া ২০১৪-১৬ সময়কালে তিনি বোলিং পরামর্শক ছিলেন পাকিস্তানের।
বিসিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আমার দায়িত্ব পালনের দিকে পুরো মনোযোগ দিচ্ছি এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি তারা (বাংলাদেশ) বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দলগুলোর একটি।’
বাংলাদেশকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সাকিব আল হাসানদের নতুন এই কোচ বলেন, ‘তারা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য, সম্পদ ও প্রতিভা আছে। আমি চেষ্টা করব আমার এই বিশ্বাসটাই তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক মুশতাক আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৪ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১৬১ উইকেট। এছাড়া ৫২ টেস্ট খেলে এই লেগস্পিনার ১৮৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে চোটের কারণে মুশতাকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা ভালো হয়নি। এরপরও অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে গিয়েছিলেন মুশতাক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ১ হাজার ৪০৭টি। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন ১০৪ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ৩২ বার।
জেএন/এমআর