মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের সময় ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দি থাকা সাবেক গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করেছে জান্তা সরকার।
দেশটির সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মিয়ানমারে চলমান গরম আবহাওয়া ও তাপপ্রবাহের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন।
এ সিদ্ধান্ত শুধু অং সান সু চি নয়, অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আবহাওয়া অত্যন্ত গরম, তাই এি সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র অং সান সুচির জন্য নয়।
যাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা প্রয়োজন, বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি।
মিয়ানমারের চারটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স।
তবে কারাগার থেকে সু চিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এছাড়া জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেননি বলে জানিয়েছে গনমাধ্যমটি।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সু চির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের দায়ে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অং সান সু চি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাকে (অং সান সু চি) নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।
বিশ্ব নেতারা এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা জান্তা সরকারের কাছে বারবার সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের এনইউজি ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র কিয়াও জাও সু চি এবং দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদেরকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ কারাগারের চেয়ে বাড়ির ঘরগুলো ভালো। তবে তাদের অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
তাদের অবশ্যই অং সান সু চি এবং ইউ উইন মিন্টের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।
জেএন/পিআর