তাবলিগ জামাতের সঙ্কট ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সাদপন্থীদের ‘হামলার’ বিচারসহ করণীয় নির্ধারণে সারাদেশের কওমীপন্থী আলেমদের নিয়ে হাটহাজারীতে এক ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে টঙ্গীতে হামলাকারীদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) হাটহাজারীর আল-জামিয়ায়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার দারুল হাদিস মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মজলিসে আমেলা (নির্বাহী কমিটি), মজলিসে খাস, সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলইয়ালিল-জামিয়াতিল কওমিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য এবং সারাদেশের আলেম প্রতিনিধিরা।
সম্মেলনে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানান বেফাকের সহসভাপতি ও ঢাকা আরজাবাদ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া। সিদ্ধান্তগুলো হল- ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম, নাসিম, আবদুল্লাহ গংসহ টঙ্গী হামলার ইন্ধনদাতাদের কাকরাইল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তাবলিগে উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব গ্রহণ করা, মাওলানা সাদের বিভ্রান্তিসমূহ ও এ বিষয়ে একটি ফতোয়া তৈরি করে সারাদেশে প্রচার করতে হবে। এসব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬-১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা। এছাড়া তাবলিগের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১৫-১৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা। তাতে দেশের শীর্ষ আলেম ও তাবলিগি মুরব্বিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং যথাসময়ে ইজতেমার আয়োজন করা।
মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া আরো জানান, সরকারের সাথে পরামর্শকৃত বিশ্ব ইজতেমার নির্ধারিত তারিখ ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০১৯ (প্রথম পর্ব) এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি (দ্বিতীয় পর্ব) এখনই চূড়ান্ত করে ইজতেমার জন্যে ময়দান তৈরি করার সুযোগ দিতে হবে। তাছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে পেশ করা দাবিগুলো পূরণ না হলে পরবর্তীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা মুহাম্মদ জোবাইর, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা আব্দুল বাছির, মাওলানা মুবারক উল্লাহ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়জী, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা উমর ফারুক, মুফতি জসিমুদ্দীন, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা জোবাইর আহমদ চৌধুরী ও মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।