টেকনাফে আবহাওয়া অনুকূল এবং কৃষি উপকরণাদি সহজলভ্য হওয়ায় এবারের চলতি রবি মৌসুমে শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো চাষাবাদ এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে রবি মৌসুমে স্থানীয় আলু ৫ হেক্টর, গ্রীনবল বেগুন ৬ হেক্টর, তাসাকিসান ও আলী প্রজাতির মুলা ১০৫ হেক্টর, সুরক্ষা প্রজাতির টমোটো ৪৬ হেক্টর, কহিনুর ও ডন-১১ প্রজাতির ভূট্টা ১৩০ হেক্টর, বিগ-শো, ওয়াইল্ড কুইন, ভিক্টও সুপার প্রজাতির তরমুজ ৩৫ হেক্টর, টিয়া প্রজাতির করলা ১৮ হেক্টর, স্থানীয় ও সুইট মামা প্রজাতির মিষ্টি কুমড়া ৪০ হেক্টর, গ্রীনলাইন ও হাতিয়া প্রজাতির খিরা ৩৫ হেক্টর, সোন্না ক্রাউন প্রজাতির ফুলকপি ৭ হেক্টর, সেভেনটি প্রজাতির বাঁধাকপি ৩ হেক্টর, ইফসা-২ প্রজাতির সীম ৩৮ হেক্টর, আলিফ প্রজাতির লাউ ৩২ হেক্টর, কেরিনা প্রজাতির বরবটি ২৬ হেক্টর, রবি-১ প্রজাতির ঢেঁড়শ ২০ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত ফ্রান্স বীন ৩০ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত মিষ্টি আলু ৩২ হেক্টর, জিঙে প্রজাতির বাদাম ১২ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত জাতের ফেলন ৭৫ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত পিঁয়াজ ১৫ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত ধনিয়া ১৭ হেক্টর, স্থানীয় ও ১৭০১ প্রজাতির মরিচ ৮৫ হেক্টর, গ্রীনলঅইন খিরা ৩৫ হেক্টর, স্থানীয় উন্নত বাঙ্গী ১২ হেক্টর এবং সাচী প্রজাতির পান ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজি ও ফলমূল ইতিমধ্যে উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ, সাবরাং, শাপলাপুরসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়ায় শাক-সবজির দাম কমে আসছে।
এ ব্যাপারে উপ সহকারী কৃষি অফিসার শফিউল আলম জয়নিউজকে জানান, আল্লাহর রহমতে টেকনাফে আবহাওয়া ভাল রয়েছে। সার-কীটনাশক ব্যবহার ও প্রাপ্তি সহজতর হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ও পরামর্শ অব্যাহত থাকায় রবি মৌসুমে শাক-সবজিতে ভাল ফলন হয়েছে। উৎপাদিত এসব শাক-সবজির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।