চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহছানুল হকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাছিমা আকতারকে মারধরের অভিযোগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাররাহুম আহমেদ এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে ফৌজদারী অভিযোগে ওই আদালতে মামলা দায়ের করেন হামলার শিকার নাছিমা আকতার।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরীফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাররাহুম আহমেদের আদালতে ভুক্তভোগী নাছিমা আকতার মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শোভনদণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান এহছানুল হকসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। আদালত শুনানি শেষে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পটিয়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সায়েম (২৮), ৫নং ওয়ার্ডের মো. আলমের ছেলে শাহেদুল ইসলাম সাহি (২৫), ৯নং ওয়ার্ডের কুরাংগিরী গ্রামের মৃত সাধু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৫), ২নং ওয়ার্ডের রশিদাবাদ গ্রামের জমির আহমদের ছেলে মো. মোরশেদ টুলু (৫২) এবং ১নং ওয়ার্ডের আবদুস শুক্কুরের ছেলে সামশেদ হিরু (৪২)।
গত ৩১ মার্চ বিকেল সাড়ে চারটায় শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবেক হুইপের সময়ে বরাদ্দ দেওয়া নলকূপ বসানো, ভিজিডির চাল বরাদ্দ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নাছিমা আকতারের।
এ নিয়ে চেয়ারম্যান এহছানুল হক, ইউপি সদস্য সায়েমসহ কয়েকজন মিলে নাছিমা আকতারকে মারধর করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের ঘুষিতে নাছিমা আকতারের দাঁত পড়ে যায়।
জানা গেছে, নাছিমা আকতার সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সমর্থক। সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে।
তাছাড়া ওই সময়েই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এহছানের সঙ্গে নানান বিষয়ে দূরত্ব ছিল হুইপের। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সামশুল হক চৌধুরী।
জেএন/পিআর