চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল পিকআপচালক তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০)র লাশ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশ থেকে খোকনের লাশটি উদ্ধার করে পরিবার। তারা জানিয়েছে লাশ রেল লাইনের সাথে বাঁধা ছিল।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানোর চিহ্ন দেখে তাদের ধারণা দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেলে গেছে।
খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মরহুম হাসেম ড্রাইভারের ছেলে। এদিকে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিমকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, তার শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বুঝা যাবে।
তিনি আরো জানান, ঘটনা যেহেতু রেললাইনে হয়েছে, অর্থাৎ রেললাইনে লাশ পাওয়া গেছে তাই বিষয়টি দেখভাল করবেন রেলওয়ে পুলিশ। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসছেন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
এদিকে নিহত খোকনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী বুধবার রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বার বাড়িতে তার ভাতিজির গায়ে হলুদে যান।
সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাশেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে।
কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেননি। পরে সকালে রেললাইনে লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইলে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। স্বামী হত্যার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন সানজিদা আক্তার।
জেএন/পিআর