আপাতত স্বস্তির খবর নেই গরম নিয়ে। এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রার আধিক্য থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে থাকায় ভ্যাপসা গরম আরও তীব্র হতে পারে। ঢাকায় মঙ্গলবার সকালে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ শতাংশ। পূর্বাভাস অনুসারে, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে আগামী অন্তত দু’দিন গরম বেশি অনুভূত হবে, বাড়বে অস্বস্তি।
টানা তৃতীয় দিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই জেলায় হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়েছে, কেউ যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের হয়। গতকাল এ অবস্থা ছিল যশোরেও, তবে সেখানে কোনো এলার্ট জারি করা হয়নি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকছে প্রখর রোদ। সকাল ১০টার পর থেকে রাস্তায় দিনমজুররা টিকতে পারছে না। রিকশা ও ভ্যানচালকরা পর্যাপ্ত যাত্রীও পাচ্ছে না। কমে গেছে তাদের আয়। দুপুরের পর থেকে রাস্তায় লোকজন আরও কম আসছে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে আসছে না কেউ।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, বাতাসের দিক কিছুটা বদলে গেছে। এখন দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাস আসছে। যে কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ছয়টি জেলায় তীব্র ও ৪২টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, রাজশাহী বিভাগের সাত জেলা ও খুলনা বিভাগের সাত জেলা এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে প্রায় সারাদেশেই দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, অনেক এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। কিন্তু আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের কষ্ট কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী তিন-চার দিন এমন অবস্থা চলতে পারে।
জেএন/এমআর