গৃহবধূকে বৈদ্য বলেছিলেন তার স্বামীকে সুস্থ করতে হলে ৮-৯ বছরের একটি নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে আসতে হবে। তার কথামতো চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে নিয়েও আসেন গৃহবধূ। রাতে ঝাড়-ফুঁক করবেন বলে শিশুটিকে রেখে তাকে চলে যেতে বলেন ওই বৈদ্য। পরে ওই রাতেই শিশুটিকে ধর্ষণ করেন ভণ্ড বৈদ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়ায়। চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শহিদুল্লাহ (৫০) নামের ওই ভণ্ড বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহিদুল্লাহ’র বাড়ি বদরখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোয়ালখালী পাড়ায়।
পুলিশ জানায়, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঘাইট্যার চর এলাকার নুরুল আবছার কিছুদিন আগে মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। তাকে ঝাড়-ফুঁকের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বৈদ্য শহিদুল্লাহ’র কাছে। শহিদুল্লাহ রোগী নুরুল আবছারের স্ত্রী শাহজাহান বেগমকে বলেন, তার স্বামীকে সুস্থ করতে হলে ৮-৯ বছরের একটি নিষ্পাপ শিশু দরকার। তার কথামতো মানসিক রোগীর স্ত্রী পূর্ব বড় ভেওলার জিএনএ মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে যান। পরে ওই বৈদ্য রাতে ঝাড়-ফুঁক করবেন বলে আশ্বস্ত করে গৃহবধূকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে শহিদুল্লাহ। পরে মেয়েটি এ ঘটনা জানালে তার মা পুলিশের শরণাপন্ন হন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ভণ্ড বৈদ্য শহিদুল্লাহকে সোমবার ভোরে বদরখালী থেকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ধর্ষিত স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসা ও ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভণ্ড বৈদ্য ও মানসিক রোগে আক্রান্ত নুরুল আবছারের স্ত্রী শাহজাহান বেগমকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।