চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগে চালের মজুত আরও ফুরিয়ে আসছে। হালিশহর ও দেওয়ানহাট সিএসডিতে (কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার) স্বাভাবিক সময়ে চালের মজুত থাকার কথা ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৫২ টন। গত মঙ্গলবার সকালে তা ছিল ৩০ হাজার ৮৬৫ টন।
সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ শেষ হয়েছে ১০ মার্চ। এখন গুদামগুলো এসবে ঠাসা থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে খাঁ খাঁ অবস্থা। সরকারি চাল প্রতিদিন বিলি-বণ্টনের কারণে একেবারেই কমে আসছে মজুত। এটি নিম্ন পর্যায়ের মজুত বলে মন্তব্য করেছেন খোদ খাদ্য কর্মকর্তারাই। তবে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রকাশ্যে তেমন কোনো কথা বলছেন না।
তথ্যমতে, খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন হালিশহর সিএসডিতে ১২৬টি গুদাম রয়েছে। এসব গুদামের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ১০ হাজার ৬৫২ টন। এখানে সরকারি আমদানি ও সংগ্রহের ধান-চাল মজুত থাকে। এখান থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব ধরনের সরকারি ত্রাণ, টিআর, জিআর, ভিজিএফ, কাবিখা, ওএমএস, টিসিবি, বিভিন্ন বাহিনীর রেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচির চাল সরবরাহ করা হয়। এখান থেকে গত মার্চে বিতরণ করা হয় ১৭ হাজার ৭৬০ টন চাল। মঙ্গলবার সকালে এখানে মজুত ছিল ২১ হাজার ৫৯০ টন।
একইভাবে দেওয়ানহাট সিএসডিতেও চালের মজুত কমে এসেছে। এখানকার ৬৭টি গুদামে ৫১ হাজার টন ধারণক্ষমতা থাকলেও মজুত রয়েছে ৯ হাজার ২৭৫ টন। এখান থেকে গত মার্চ মাসে চাল বিতরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৮২ টন।
এ বিষয়ে খাদ্য বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক মাসের বেশি চালের মজুত নেই। যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী উপপরিচালক দোলন দেব বলেন, ‘আমাদের চাল লাগলে আবার উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং চাল আনা হবে।’
জেএন/এমআর