চট্টগ্রাম বন্দরে এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালকে (পিসিটি) ওয়্যারহাউজিং স্টেশন হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৩২ একর এলাকা বন্ডেড সুবিধার অধিভুক্ত হয়েছে।
কাস্টমস আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি বিভাগ থেকে গত ১৭ এপ্রিল ইস্যু করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ২(ইউ)-তে ওয়্যারহাউজিং স্টেশনকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একাধিক প্রজ্ঞাপন দ্বারা বন্ড সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকাকে চিহ্নিত করে দিয়েছে, সেসব এলাকা ওয়্যারহাউজিং স্টেশন হিসেবে পরিচিত। ওয়্যারহাউজিং স্টেশন ব্যতীত অন্য এলাকায় বন্ড সুবিধা তথা বন্ড লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ওই স্থানকে এনবিআর ওয়্যারহাউজ স্টেশন হিসাবে ঘোষণা করতে হবে বা ঘোষণা করিয়ে নিতে হবে।
এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল তিনটি জেটিতে একসঙ্গে তিনটি কনটেইনার জাহাজ ভিড়তে পারবে। বছরে সাড়ে চার লাখ টিইইউএস (২০ ফুট কনটেইনারের একক) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম টার্মিনালটি। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ২২ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ মাসের মধ্যেই অর্থাৎ চলতি এপ্রিলেই পিসিটির কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর ও এনবিআর সূত্রে জানা যায়, টার্মিনালটি পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়বে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে প্রায় পাঁচ লাখ টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের কনটেইনার)। দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর গত বছর ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
আর পতেঙ্গা টার্মিনালটি চালু করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ ছাড়পত্রসহ ২৫টি দপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হয়। এছাড়া কাস্টম হাউসের সার্ভার এবং বন্দরের পণ্য ডেলিভারি সিস্টেমের সঙ্গেও অনলাইন সংযোগ স্থাপন করতে হয়। অর্থাৎ বন্দর ও কাস্টম হাউসের সিস্টেমের সঙ্গে টার্মিনাল অপারেশনের আন্তঃসংযোগ করতে হয়।
জেএন/এমআর