বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২০ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ– অর্থ।
তিনি এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোথাও কোনো সঞ্চালন বা বিতরণে সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ০৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান ১৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে ৩৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা। এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে Corporate Social Responsibility নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল CSR কার্যক্রমের জন্য ০.৩৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গত বছর বেশকিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট ) কার্যক্রমের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর