মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইল সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এমন খবর প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমি লড়াই করবো।
সোমবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার দেশের সেনাবাহিনীর ওপর যেকোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ আউটলেট অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ‘নেতজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের’ ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অন্তত তিনটি সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার আগে ওয়েস্ট ব্যাংকের ঘটনার উপর ভিত্তি করে, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইউনিটটিকে ২০২২ সালে ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে প্রত্যাহার করা হয়৷
মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে আইডিএফ এবং পুলিশের একাধিক ইউনিটের বিরুদ্ধে৷ তাদের আচরণের বিস্তারিত মূল্যায়নের পর নিষেধাজ্ঞার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷
আক্সিওস জানিয়েছে, অন্য ইউনিটগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি৷ কারণ তারা আচরণে বদল ঘটিয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯৭ সালের ‘লেহি আইন’ অনুযায়ী নেয়া হয়েছে৷ এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বিদেশি নিরাপত্তা এবং সামরিক ইউনিটগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা এবং প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায়৷
এদিকে ইসরাইলের জন্য সহায়তা অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে তাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্সি। মার্কিনী সহায়তার নিন্দা করে তারা জানায়, এর ফলে সহিংসতা আরও বাড়বে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে শনিবার পাস হওয়া একটি আইনে ইউক্রেন ও তাইওয়ানের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সমর্থন প্যাকেজটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট এই আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
জেএন/পিআর