সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
জাহাজ বন্দরে ভেড়ার পর নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ৯টার পরে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানো হয়। এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়।
কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না।
কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।
জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। খালাস হতে আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
এদিকে, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে উঠে অস্ত্রের মুখে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে।
একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টায় মুক্তিপণ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেয়। এরপর ইতালি ও স্পেনের নৌসেনাদের পাহারায় আমিরাতের উদ্দেশে রওয়ানা হয় জাহাজটি।
জেএন/পিআর