বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সমিতি।
আর সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নির্দেশনা ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকেরা।
অন্যদিকে, এক মাসের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া, ন্যাক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।
ঘটনার তদন্তের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় ১১ সদস্যের একটি কমিটি বৈঠকে বসে। কমিটিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তগুলোর ঘোষণা দেন সাংবাদিক লিমন আহমেদ। তিনি জানান, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারো কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিমন বলেন, তাকে নিয়ে শিল্পী সমিতি যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।
বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানায়।
১১ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল ও রত্না। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিতে চান।
ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন— আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না। দেখলে কেমন লাগে? ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করতেই রেগে যান খল-অভিনেতা শিবা শানু।
তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে নিয়ে যান।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ২০ জন সাংবাদিক। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার ব্রো’র দিকে।
জেএন/পিআর