চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, ম্যালেরিয়া রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে রোগীর সংখ্যা কমে আসার পাাশাপাশি এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কমেছে। ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ, প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতাসহ কর্মতৎপরতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় একসময় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ছিল। দুর্গম এলাকা হওয়াতে ম্যালেরিয়া রোগে শিশুরা মারাও যেত। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা ও স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতায় এখন পাহাড়েও ম্যালেরিয়া রোগী কমে আসছে। বর্তমান সরকার আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে ম্যালেরিয়ামুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সমন্বিভাবে কাজ করতে হবে। বিগত ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম জেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্য ছিল ১৪৮ জন, কেউ মৃত্যুবরণ করেনি এবং চলতি ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ জেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ জন, তন্মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করি, বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ি’।
আলোচনা সভার পূর্বে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমও (ম্যালেরিয়া) ডা. মোঃ আবুল কালাম। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোঃ নওশাদ খান, ডিএসএমও ডা. আবদুল্লা-হিল রাফি অঝোর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও এফএম জাহিদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্তাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আলোচনা সভা ও র্যালিতে অংশ নেন।
জেএন/এমআর