চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ভোটের লড়াইয়ে এবার নতুন দুই হেভিওয়েট নেতা। একজন ডাক্তার, আরেকজন উকিল। তারা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এরমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কারাবন্দি। আর মহাজোট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার নওফেল ভোটের মাঠে। তিনি মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) শাহ আমানত খানের (র.) মাজার জেয়ারত করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন । অন্যদিকে একইদিন কারাবন্দি ডা. শাহাদাতের পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার নওফেল নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা নওফেল গত কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। কোতোয়ালী আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে হেরে গেলেও ১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে ১৭ বছর নগরপিতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পিতার জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সামনে নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন নওফেল।
জাতীয় নির্বাচনে প্রথম বয়সে তরুণ দুই দলের এ দুই প্রার্থীকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে- বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এই আসনের ভোটারদের ভোট দিতে হবে ইভিএমের মাধ্যমে। এ আসনটিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীই নতুন। জীবনে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন ডা. শাহাদাত। তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করেন। এরপর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও জড়িত তিনি। ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির ওপর রাজনৈতিক সিডর নেমে এলে দলের হাল ধরেন তিনি। এর স্বীকৃতি হিসেবে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ কাউন্সিলে মহানগর বিএনপি সভাপতির দায়িত্ব পান। বিগত ১০ বছর রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। বারবার কারাবরণ করেছেন, ৪৫টি মামলার আসামিও হয়েছেন। এখন তিনি কারাগারে বন্দি।
এ আসনটিতে কমিউনিস্ট পার্টির মৃণাল চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলনের শেখ আমজাদ আলী, ন্যাপের আলী নেওয়াজ খান, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হকও প্রার্থী হয়েছেন।