ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ এবং পাচারের শিকার হওয়া নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২০ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
তারা হলেন-অনন্য রায় (১৬), কামনা বিশ্বাস (১৭), উর্মি আক্তার (২১), নাদিরা শেখ (২৩), বৃষ্টি (৮), আবৃতি শীল (৮), রাবেয়া আক্তার (১৫), হোসনা আক্তার (১৪),জান্নাত শেখ (১৭),পুজা রায় (১৫), আছিয়া খানম (৫), নাহিদ হাসান (১৩) ও তৃষা (১৭), ওলিদ খান (১৬),কথা মণ্ডল (৮), ফারজানা আক্তার (২২), প্রান্তি বিশ্বাস (১৮), তমারানি (১৯), জোগুনা বিবি (৬৫) ও রাকিব হোসেন (১৬)।
তারা খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, পিরোজপুর, কেরানিগঞ্জ, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, গাজিপুর, বাগেরহাট ও চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফেরত আসারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেফ হোমের হেফাজতে ছিলেন। পরে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় এসিল্যান্ড, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে উদ্ধারদের হস্তান্তর করেন।
এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসাদের পোর্ট থানার সোপর্দ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মণ জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নারী-শিশুদের আনা হয়েছে।
ফিরে আসা নারী ও শিশুদেরকে তিনটি মানবাধিকার সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসব মানবাধিকার সংগঠন তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।
জেএন/পিআর