আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইনের কয়েকটি ধারা ভাঙার অপরাধে বড় ধরনের শাস্তি পেয়েছেন ডেভন টমাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেটের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি বৃহস্পতিবার এই শাস্তির ঘোষণা দেয়।
আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে নয়, টমাসের বিরুদ্ধে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতির মোট ৭টি ধারা ভাঙার অভিযোগ ওঠে গত বছরের মার্চে। তখন তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের চারটি, আবু ধাবি টি-টেন লিগে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের একটি ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) দুটি ধারা ভেঙেছেন টমাস, এমনটা দাবি করা হয় তখন।
যার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, ২০২১ লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের ফলাফল প্রভাবিত করা বা ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে এমন চেষ্টা করা। অন্য অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে, ২০২১ সালের এলপিএল, আবু ধাবি টি-টেন ও সিপিএলে দুর্নীতির প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
অভিযোগ ওঠার এক বছর পর টমাসকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। তার নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময় ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ, যেদিন তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। টমাসের নিষেধাজ্ঞার শেষ ১৮ মাস স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক টমাসের। মূল ক্রিকেটারদের বড় অংশ বোর্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ায় আরো অনেকের মতো সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেবার টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হয় তার। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২১ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন তিনি।
তার টেস্ট অভিষেক হয় গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেইডে। সেটিই তার ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট। জাতীয় দলের হয়ে ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের সবশেষ ম্যাচও সেটি।
জেএন/পিআর