উপজেলা নির্বাচন :

চট্টগ্রামের সব উপজেলায় আ.লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই

জয়নিউজ এক্সক্লুসিভ

রাজীব সেন প্রিন্স: চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন-ওয়ার্ড-গ্রাম-মহল্লা প্রায় সবখানেই ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

- Advertisement -

মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় শতাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে সরব রয়েছে। নির্বাচনী হাওয়া থেকে পিছিয়ে নেই সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।

- Advertisement -google news follower

ইতিমধ্যে চার ধাপে ১৩ উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন এ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

দলীয় প্রতীকবিহীন এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ঘোষণায় সাধারণ ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ। দলীয় প্রতীক না থাকায় এবার ভোটের মাঠে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী।

- Advertisement -islamibank

সবাই স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। ফলে চেয়ারম্যান পদে এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলীয় নেতাদেরই ভোটযুদ্ধ হবে। এখন দেখার বিষয় ভোটারদের অংশগ্রহণ কেমন হবে? আর ভোটারদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন জমবে তো?

তবে এবারের উপজেলা নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জমজমাট নির্বাচন হয়,সে কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল।

এগুলো হলো, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করা। দলের পক্ষ থেকে কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের দলীয় পরিচয় ব্যবহার না করা এবং উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে সবার উদ্দেশে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যদি কেউ ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করতে কেউ ব্যর্থ হলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। ভবিষ্যতে দলীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে।

এ নির্দেশের পর মন্ত্রী ও এমপির কিছু কিছু আত্মীয় ও নিজস্ব ব্যক্তির নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশ স্পষ্ট। কোনো অবস্থাতেই তারা উপজেলা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছেন না।

তবে এ সিদ্ধান্তও যেন কোন কাজেই আসছে না। নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন উপজেলায় দলের কোন্দল এবং বিভক্তি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একাধিক আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এখন মাঠে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে।

শুধু তারা মাঠে নেই, একে অন্যকে বিষেদাগারও করছে, সভা-সমাবেশ ও পাড়ার চায়ের দোকানের মোড়ে মোড়েও একে অন্যকে উদ্দ্যেশ্য করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে স্পষ্ট করছেন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ। যার ফলে বিভক্ত আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে কতটা ভালো করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।

তবে প্রশাসন বলছে, উপজেলা নির্বোচন ঘিরে চট্টগ্রামে যে কোন নাশকতা মোকাবেলা করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনে কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কিংবা জোর খাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

দলের প্রভাবশালীরা যাতে প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে না পারেন, এজন্য সরকার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া জেলা-উপজেলার প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে বলেছে।

বিভিন্ন উপজেলায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের দাবির মুখেই এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি। উদ্দেশ্য হলো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি এ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখা।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে চার ধাপে ১৫ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ১৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণা করেছে। এসব উপজেলার গ্রাম-মহল্লার রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হাটবাজার সব জায়গায় আলোচনার মূলকেন্দ্রে উপজেলা নির্বাচন।

এরমধ্যে প্রথম ধাপে যেসব উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে সেখানে প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও তার কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। করছেন উঠান বৈঠক ও পথসভা।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরাও প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। যোগ দিচ্ছেন সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। সারাদিন ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, করছেন উঠান বৈঠক। অনেক প্রার্থী আবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে।

তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরাও ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চতুর্থ ধাপের প্রার্থীরাও প্রস্তুত যার যার সামর্থ জানান দিতে। ভোটের আগে থেকেই প্রার্থীরা এলাকায় এলাকায় এসে ঘুরে যাচ্ছেন। চায়ের দোকানে বসে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছেন, চা খাচ্ছেন।

জানা গেছে, আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ ও মিরসরাই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবার দলীয় প্রতীক হিসাবে নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এসব উপজেলায় আওয়ামী লীগে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেন।

জেলা, উপজেলা নেতাদের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে সিনিয়র-জুনিয়ররা নির্বাচনের মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

তবে এ তিন উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে গত সোমবার জেলা পুলিশ তিন উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে সব প্রার্থীকে সতর্ক করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৮ মে উপজেলা নির্বাচন শতভাগ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে ভোট গ্রহণের আগেই অভিযান চালাবে পুলিশ।

তাছাড়া চিহ্নিত ও দাগী সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে বের হয়ে আসতে না পারে সে ব্যাপারেও প্রশাসন সতর্ক থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

মিরসরাই:
প্রথম ধাপের নির্বাচনে মিরসরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে লড়াই হবে দুজনের মধ্যে। ঘোড়া প্রতিক নিয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা ও কাপ-পিরিচ প্রতিক নিয়ে লড়াই করবে এনায়েত হোসেন নয়ন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান রুহেলের আস্থাভাজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

তাছাড়া একই উপজেলায় অন্য তিন প্রার্থী হলেন, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, উত্তম কুমার শর্মা ও মোহাম্মদ মোস্তফা। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

সন্দ্বীপ:
সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন (কাপ-পিরিচ), মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (আনারস), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন আহমেদ (দোয়াত-কলম), অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন জামসেদ (মোটরসাইকেল) ও শেখ মো. জুয়েল (হেলিকপ্টার)।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ছাড়া আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গত ২৩ এপ্রিল তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হালিমা বেগম শান্তা (ফুটবল) ও নাহিদা তানমী (কলস)।

সীতাকুণ্ড :
সীতাকুণ্ড উপজেলায় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ রঞ্জু (দোয়াত কলম) ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী (আনারস)।

উভয় প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু বর্তমান সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন (উড়োজাহাজ) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমদ (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সীতাকুন্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর আকতার (পদ্মফুল), উপজেলা শ্রমিক লীগের মহিলা সম্পাদক শামীমা আকতার ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হামিদা আকতার।

নির্বাচনে যেহেতু অন্য দলগুলো অংশ নেয়নি, এখানে ভোট পড়বে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কিছু ভাসমান ভোটারের।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ।

রাউজান:
কিন্তু এই চার উপজেলার মধ্যে রাউজান উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবারও একক প্রার্থী হওয়ায় আগামী ২১ মে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে না।

রাঙ্গুনিয়া:
অপরদিকে রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় এই দুই পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ায় শুধুমাত্র পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, তারা হলেন ওমর ফারুক (তালা) এবং শেখর বিশ্বাস (উড়োজাহাজ)।

হাটহাজারী:
হাটহাজারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোড়া), উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী (আনারস) ও উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল আলম (মোটরসাইকেল)।

ফটিকছড়ি:
ফটিকছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী (মোটরসাইকেল) ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতেয়ার সাঈদ ইরান (আনারস)।

তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তপশীল অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বোয়ালখালী:
বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নুরুল ইসলাম, বোয়ালখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম শফি, সাংবাদিক কাজী আয়েশা ফারজানা, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহেদুল হক ও মো.শফিক।

এছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন-মোহাম্মদ মীর নওশাদ, শফিকুল আলম, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হক টিপু ও সজল কান্তি চৌধুরী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন-বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, মর্জিনা বেগম ও মোছাম্মৎ উম্মে সালমা।

পটিয়া:
পটিয়ায় ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। তারা হলেন, প্রদীপ কুমার দাশ, মুহাম্মদ বদিউল আলম, অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, দিদারুল আলম, সৈয়দ নুরুল আবছার।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে (৮ জন) তারা হলেন, আবু ছালেহ মুহাম্মদ শাহরিয়ার, আশীষ তালুকদার, এমদাদুল হাসান, ঝুলন দত্ত, মোজাম্মেল হোসেন, শাইফুল হাসান টিটু, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, মুহাম্মদ বেলাল।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে (৬ জন) তারা হলেন, আফরোজা বেগম, কানিজ ফাতেমা, নুর আয়েশা বেগম, মাজেদা বেগম, সাজেদা বেগম, সুমি দে।

আনোয়ারা:
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচনে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ছাবের আহমদ চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী প্রদীপ দত্ত কনক, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, এম এ মান্নান মান্না, ডাক্তার সন্তোষ কুমার দে। তাছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মরিয়ম বেগম, পারভিন আকতার ও এডভোকেট চুমকি চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চন্দনাইশ :
চন্দনাইশ উপজেলায় মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগকৃত সদস্য আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা ফারুকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান (জোয়ারা ইউপি) আওয়ামী লীগ সমর্থক আহমদ হোসেন, পদ্মা ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বহুল আলোচিত জেসিকা গ্রুপ ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, একরামুল হোসেন চৌধুরী ও রুপম দেব।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী খালেদা আক্তার।

তাছাড়া আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ও লোহাগাড়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় ভোটের তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন।

জেএন/রাজীব সেন প্রিন্স

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM